নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকমঃ
সোনারগাঁ উপজেলার মেঘনা নদীর আনন্দ বাজার বালু মহালে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ হচ্ছে না। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মেঘনা নদীতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ড্রেজার শ্রমিকদের ধরে এনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে সাজা দিলেও বন্ধ হচ্ছে না অবৈধ বালু উত্তোলন। বালু সন্ত্রাসীরা দিনে রাতে লুট করে নিয়ে যাচ্ছে মেঘনা নদীর পাদদেশের বালু।
জানাগেছে, উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের আনন্দবাজার এলাকার বালু মহালটি ইজারা শেষ হয় কয়েক মাস আগে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নতুন করে এ মহালটি ইজারা দিয়েছে একটি প্রতিষ্ঠানকে। এ সুযোগে বৈদ্যেরবাজার এলাকার কয়েকজন প্রভাবশালী সন্ত্রাসী দিনে ও রাতে মেঘনা নদীর পাদদেশ থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন করছে। এ নিয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আনন্দবাজার বালু মহালে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। এসময় ৫জন ড্রেজার শ্রমিককে আটক করা হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোবাই কোর্ট পরিচালনা করে ৪ শ্রমিককে ১ বছরের ও একজনকে ১ মাসের কারাদন্ড প্রদান করেন। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে শ্রমিকদের দন্ডাদেশ দিলেও বালু উত্তোলনকারী মুল হোতারা রয়েছেন ধরা ছোয়ার বাহিরে।
জানাগেছে, আনন্দবাজার বালু মহালে কয়েকটি শক্তিশীলী ড্রেজার দিয়ে বালু লুট করে নিচ্ছেন বৈদ্যেরবাজার যুবলীগের সভাপতি নবীরের ভাই নজরুল, আল-আমিন, ইসলাইল মেম্বারের ছেলে রকি, কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগীরের সদস্য রোবায়েত হোসেন শান্ত ও তাওলাদ হোসেন। বালু উত্তোলনের সাখে জড়িত এদের নাম মিডিয়া প্রকাশিত হলেও উপজেলা প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থাই নিচ্ছেন না। বরং বালু চোরেরা জানান, প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই তারা দিনে দুপুরে প্রকাশ্যে বালু উত্তোলন করছেন।